অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় প্রমীলা ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর উপলক্ষ্যে হাবিব ব্যাংক লিমিটেড সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় টি২০ দলের অধিনায়ক এবং এইচবিএল ক্রিকেট দলের সদস্য শহীদ আফ্রিদি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মহিলা বিভাগের পরিচালক এ আউয়াল চৌধুরী, হাই কমিশনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মির্জা এজাজুর রহমান এবং এইচবিএল ব্যাংকের সিইও ও প্রেসিডেন্ট নোমান কে দার সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও পাকিস্তান প্রমীলা ক্রিকেট দল ।
অনুষ্ঠানে শহীদ আফ্রিদি তার বক্তব্যে এইচবিএল টিমের সাথে ১৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে যুক্ত থাকা এবং ব্যাংকটির ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলাধুলায় অবদান সর্ম্পকে তুলে ধরেন। বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার এবং বিসিবিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি খেলাধূলাকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি একই সাথে দু’দেশের সাফল্যের দিকগুলোও তুলে ধরেন ।
হাবিব ব্যাংকের সিইও ও প্রেসিডেন্ট নোমান কে দার তার বক্তব্যে বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানান। এই সিরিজকে বাস্তবে রুপায়িত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিসিবির প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান কে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি এই সিরিজটিকে দুই দেশের ভ্রাতৃত্ব এবং ক্রিকেটের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি খেলোয়াড়দের মনে করিয়ে দেন যে, তারা মেয়েদের জন্য আদর্শ এবং বর্তমান সময়ে মেয়েদের খেলাধূলায় অংশগ্রহন নারী অগ্রগ্রতির উদাহরণ। খেলোয়াড়দের নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখা সম্পর্কে তিনি বলেন, “এমন কোনো কারনই থাকতে পারে না যা শহীদের (আফ্রিদি) মত সাফল্য অর্জন করা থেকে আপনাদেরকে বিরত রাখতে পারে।” তিনি এই উন্নতি অব্যাহত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রহমান-কে কিছু বলার জন্য আমন্ত্রন জানালে, তিনি বিসিবি এবং পিসিবি কে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং পাকিস্তানে তাদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি ক্রীড়াক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য এইচবিএল-কেও ধন্যবাদ জানান। সবশেষে শহীদ আফ্রিদি এবং নোমান দার উভয় দলের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
হাবিব ব্যাংক লিমিটেড সম্পর্কেঃ
হাবিব ব্যাংক লিমিটেড পাকিস্তানের প্রথম বানিজ্যিক ব্যাংক যা ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে হাবিব ব্যাংক পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ প্রাইভেট সেক্টর ব্যাংক যার রয়েছে বিশ্বব্যাপী ৮০ লক্ষ গ্রাহক, ১ হাজার ৬শ শাখা এবং ১ হাজার ৭শ এটিএম।
বিশ্বের ২৯ টি দেশে উপস্থিতিসহ এইচবিএল পাকিস্তানের বৃহত্তম স্থানীয় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া, আফ্রিকা এবং দূর প্রাচ্যের প্রধান আন্তর্জাতিক বাজার সমূহে ব্যাংকটি তার উপস্থিতি বৃদ্ধি করে চলেছে। বাংলাদেশে ব্যাংকটির প্রথম শাখা ১৯৭৬ সালে চালু হয়; ঢাকা চট্টগ্রাম এবং সিলেটে বর্তমানে ব্যাংকটির ৭টি শাখা রয়েছে। এইচবিএল-এর অধিকাংশ শেয়ার দি আগা খান ফান্ড ফর ইকোনোমিক ডেভলপমেন্ট (একেএফইডি) এর কাছে রয়েছে।
পাকিস্তান সরকার এইচবিএল-কে ২০০৪ সালে ব্যাক্তিখাতে ছেড়ে দেয়। একেএফইডি ব্যাংকের ৫১ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করে এবং ব্যাবস্থাপনার নিয়ন্ত্রন নেয়। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তান সরকার ৪১.৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে হস্তান্তর করে। এইচবিএল-এ ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা একেএফইডি’র কাছে রয়েছে এবং বাকি শেয়ার ব্যাক্তি মালিকানা, স্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সিডিসি গ্রুপ পিএলসি (৫ শতাংশ মালিকানা) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (৩ শতাংশ মালিকানা)।